একটি সফল ছাদ বাগান করার জন্য - ছাদ বাগান করার পদ্ধতি গুলো জানা জরুরি
ছাদ বাগান |
তীব্র গরমে পাকা বাড়িতে প্রশান্তির ছায়া খুজতে অনেকেই পাকা বাড়ির ছাদে বাগান করতে চান । কিন্তু ছাদ বাগান করার সঠিক পদ্ধতিগুলো না জানার কারণে অনেকেই প্রবল ইচ্ছা শক্তি থাকা সত্বেও ছাদ বাগান করতে বিফল হন । তবে আপনি যদি ছাদ বাগান করার পদ্ধতি গুলো জানেন তাহলে একটি সফল ছাদ বাগান আপনিও করতে পারবেন । আজকের আলোচনায় আমরা একটি সফল ছাদ বাগান করার পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে জানবো । আসুন শুরু করা যাক । অনেকেই হয়তো ছাদ বাগান কি তা জানেন আবার অনেকেই আছেন ছাদ বাগান কি এটা জানেন না । তাদের উদ্দেশ্য প্রথমে আমরা জানবো ছাদ বাগান কি ? তারপর ধাপে ধাপে আমরা ছাদ বাগান করার পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে জানবো ।
ছাদ বাগান
বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে পাকা বাড়ির ছাদ ,ব্যালকুনি কিংবা খালি জায়গায় বিশেষ করে ফূল,ফল ,শাক-সবজি ইত্যাদি গাছপালা লাগিয়ে যে ছোট একটা সবুজের টুকরা তৈরি করা হয় তাকেই ছাদ বাগান বলে । ছাদ বাগান সবার কাছে পরিচিত রুপ টপ গার্ডেন নামে । এক কথায় আমাদের বাড়ির ছাদ কিংবা ব্যালকুনি বা বাড়ির খালি জায়গায় যে বাগান তৈরি করা হয় তাকেই ছাদ বাগান বলে । ইতিহাস থেকে পাওয়া যায় সর্বপ্রথম ৪র্থ খ্রিস্টপূর্ব থেকে ৬০০ খ্রিস্টাপূর্ব পর্যন্ত মধ্যকার সময়ে মেসোপটেমিয়ার জিগুরাটে কাঠামোর উপর গাছ লাগানোর পর থেকেই মানুষ উচু জায়গায় বা ছাদে গাছ লাগানো শুরু করে । আমাদের দেশে ছাদ বাগান করার প্রবণতা আসে শাইখ সিরাজ ওনার কৃষি ভাবাপন্ন প্রতিবেদন গুলো থেকে । ওনার প্রতিবেদন গুলোর আগে কিছু সংখ্যাক লোক হয়তো বা ছাদ কৃষি সম্পর্কে জানতো কিন্তু প্রতিবেদন গুলোর বেড় হওয়ার পর সবার ছাদ বাগান করার ইচ্ছে তেরি হয় ।
কেন আমরা ছাদ বাগান করবো বা ছাদ বাগানের গুরুত্ব
ছাদ বাগানের প্রয়োজনীয়তা বা গুরুত্ব অপরিসীম । এটি আমাদের ফ্রেশ ফল ,শাকসবজির চাহিদা মেটাতে সক্ষম । তাছাড়াও ছাদে ফুল গাছ লাগানোর মধ্যমে ছাদের সৌন্দর্য বাড়ানো যায় । অনেকেই হয়তোবা আছেন যারা অবসর সময় কাটাচ্ছেন তাদের সময় কাটানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে একটি ছাদ বগান । সাথে বাড়তি আয়ের ব্যবস্থা হবে । এখন গরমের তীব্রতা কারণে শহরে বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়ছে । অসহ্য এই তাপাদাহ থেকে আমাদের সস্থি দিবে ছাদ বাগান । বিশেষজ্ঞ দের মতে একটি ছাদ বাগান আপনার বাড়িকে সুশীতল ও শান্তিময় রাখতে সক্ষম । তাছাড়াও বাড়ির চারপাশের পরিবেশ দূষণ মুক্ত রাখতে এর ভূমিকা অনেক । যখন আপনি ভাড়ি নির্মণ করছেন তখন আপনার জমি নষ্ট হয়েছে । ছাদ বাগানের মাধ্যমে তার কিছু অংশ পুষিয়ে নেওয়া যায় । আর যারা সবুজ পছন্দ করেন তাদের জন্য ছাদ বাগান মনের খুরাক হিসাবে কাজ করবে ।
ছাদ বাগান করার পদ্ধতি
সঠিক ভাবে ছাদ বাগান করার পদ্ধতি গুলো আমাদের জানতে হবে । তাহলে একটি সফল ছাদ বাগান গড়ে তুলতে পারবো । আসুন নিচে থেক একট সফল ছাদ বাগান করার পদ্ধিতি গুলো ধাপে ধাপে জানি ।
ছাদ বাগান করার আগে যে সব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে
ছাদ বাচাই :- অনেকের হয়তো পাকা বাড়ি আছে এবং বাড়িতে একটি ছাদও আছে । কিন্তু সব ছাদ, বাগন করার উপযোগী নয় । ছাদ বাগান করতে গেলে অবশ্যই আপনার প্রথমে খেয়াল রাখতে হয়ে কাঠামোর ভিত্তি প্রস্থ কতটা শক্তিশালী । কেননা ছাদে যখন গাছ পালা বড় হলে তখন ছাদে ভার পড়বে । তাই ছাদ বাগান করার আগে অবশ্যই আপনাকে কাঠামোর ভিত্তি প্রস্থ কতটা শক্তিশালী সে সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে ।
পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা :- বাগানে যেহেতু অনেক প্রকার গাছ - পালা থাকবে । আর গাছ পালাকে সুস্থ সবল ভাবে বড় করার জন্য অবশ্যই নিয়মিত পানি দিতে হবে । যেহেতু বাগানে নিয়মিত পানি দিতে হবে তাই ছাদে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে । পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকলে ছাদে পানি ও মাটি জমে ছাদ নষ্ট হয়ে যেতে পারে । তাই ছাদ বাগান করার আগে অবশ্যই পানি নিষ্কাশনের ভালো ব্যবস্থা রাখতে হবে ।
বড় গাছ রোপনের ক্ষেত্রে :- ছাদ বাগানে অনেক বড় গাছও রোপন করা হয় । তবে ছাদে বড় গাছ রোপন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে বড় গাছগুলো যেন ছাদের বীম বা কলামের কাচাকাছি স্থানে বা বরাবর স্থাপন করা হয় ।
ছাদ যেন স্যাঁতসেতে না হয় :- ছাদ বাগান করার ক্ষেত্রে অব্যশই খেয়াল রাখতে হবে ছাদ যেন কোন ভাবেই স্যাঁতসেঁতে না হয়ে যায় । যেহেতু এখানে পানি ও মাটির মিশ্রন থাকবে তাই ছাদ স্যাঁতসেতে হওয়ার প্রবণতা থাকবেই । স্যাঁতসেঁতে ছাদ যেন পরিষ্কার করা যায় সে জন্য বাগানে রিং ,ড্রাম বা ইট দিয়ে খানিকটা উচু করে টপ গুলো স্থাপন করতে হবে ।
সূর্যালোকের অবস্থান নির্ণয় :- অনেক ছাদ আছে যেখানে পাশের বাড়ির কারনে সূর্যের আলো বেশি পড়ে না । এমন বাড়িতে ছাদ বাগান করার আগে অব্যশই খেয়াল রাখতে হবে ,ছাদের যে অংশটুকুতে সুর্যের আলো আসে সে অংশটুকুতেই ছাদ বাগান তেরি করতে হবে ।
পরিকল্পনা ও নকশা :- একটি সফল ছাদ বাগান করার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভালো নকশা ও পরিকল্পনা করে নিতে হবে । ধরুন ছাদে কি কি গাছ রোপন করবেন এর একটি সমগ্রিক পরিকল্পনা ছাদ বাগান করার আগেই করে নিতে হবে । সেই সাথে ছাদ বাগানের অবকাঠামো গত নকশা তৈরি করতে হবে ।
যে রকম পাত্র ছাদ বাগানের জন্য নির্বাচন করা ভালো
একটি ছাদ বাগান কারার জন্য পাত্র নির্বাচন করতে গেলে সবচায়তে ভালো হয় মাটির টব । তবে ছাদের যদি ভার বহন করার ক্ষমতা অধিক পরিমাণ হয় তা্হলে সেখানে কংক্রিট বা সিরামিক এর পাত্র তৈরি করে নিতে পারেন । যদি ভার বহন করার ক্ষমতা বেশি না থাকে তাহলে ড্রাম , প্লাষ্টিকের টব এর ব্যবহার করতে পারেন । তাছাড়াও পুরানো পানির পাত্র , টিনের তৈরি কৃত বক্স ,কাঠের বক্স ইত্যাদি ছাদে গাছ লাগানোর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে । যে রকম পাত্রই আপনি নির্বাচন করেন না কেন ছাদ বাগান করার জন্য ,এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে প্রত্যেক পাত্রেের গায়ে যেন ছিদ্র থাকে, যাতে করে পানি নিষ্কাষিত হতে পারে । ফল গাছ ও লতানো গাছ যা আকারে মাঝারি সাইজের হয় এসমস্থ গাছ লাগানোর জন্য বড় পাত্র বা হাফ ড্রাম নিতে পরেন । আর ছোট পাত্রের ব্যবহার করতে পারেন ফুল গাছ এবং ছোট ছোট গাছ রোপন করার জন্য । কাঠের তৈরি ট্রে এর ব্যবহার করতে পারেন শাক-সবজি চাষ করার ক্ষেত্রে । ফলের গাছ লাগানোর জন্য সবচায়তে ভাল হয় হাফ ড্রামের ব্যবহার । কেননা এখানে ড্রামের মুখ বেশ প্রস্থ্য থাকে । আর ফুল গাছ লাগানোর জন্য ১৫ থেকে ২০ সেন্টিমিটার মুখের মাটির বা সিরামিকের টপ হলে যথেষ্ট ।
ছাদ বাগানের মাটি তৈরি
ছাদ বাগান করার একটি অতিপ্রয়োজনীয় অংশ হলো মাঠি । ছাদ বাগানের জন্য সবচায়তে ভালো হলো দোঁহাশ মাটি । বাগানের মাটি তৈরি করার ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে , দোঁহাশ মাটির সাথে ২:১ অনুপাতে জৈব সার ভালোবাবে মিশিয়ে মাটি উর্বর হওয়ার জন্য কয়েকদিন পলিথিন কাগজ দিয়ে ডেকে রেখে দিতে হবে । যদি কোন কারণে রাসায়নিক সার মেশাতে চান তাহলে তা পরিমাণ মত, মাটি তৈরি করার সময়ই মিশিয়ে নিবেন । এখন উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো কোন কোন গাছ লাগানোর সময় কি পরিমাণ মাঠির ব্যবহার করতে হবে । মনেরাখবেন ,শাক কিংবা অগভীরমূলী ফুল গাছ লাগানোর জন্য পাত্রে ১৫ থেকে ২০ সেন্টিমিটার মাটির স্তর থাকলেই হবে । যে সব গাছের শেকড় বড় হয় অর্থাৎ মাঝারি সাইজের গাছগুলো ক্ষেত্রে ৫০ থেকে ৬০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত মাটির স্থরই যথেষ্ট । তবে টপের মাটি ১ বছরের মধ্যে একবার হলেও পরিবর্তন করে দিতে হবে । নতুন মাটি দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই গোবর দ্বারা মিশ্রিত মাটি দিতে হবে । তবে এই ক্ষেত্রে লক্ষনীয় যে ,মাটি পরিবর্তন করার সময় শেকড় কিংবা গাছের যেন কোন ক্ষতি না হয় । যতটা সম্ভব সাবধানতার সাথে গাছের শেকড় থেকে পুরাতন মাটি সরিয়ে নতুন মাটি দিতে হবে ।
ছাদ বাগানের জন্য উপযুক্ত গাছ
সবই গাছই ছাদ বাগান করার জন্য উপযুক্ত না । ভেবেশুনে পরিকল্পনার মাধ্যমে ছাদ বাগানে গাছ রোপন করতে হয় । এখন জানতে পারবেন কোন ছাদ বাগানের জন্য উপযুক্ত গাছ সমূহ ।
সবজির ক্ষেত্রে :- ছাদ বাগানে সবজি চাষ করে ,সবজির চাহিদা মেটানো সম্ভব । এমন কি বাগান থেকে উৎপাদিত সবজি বিক্রি করে বাড়তি আয়ও করতে পারবেন । এখন যানা যাক ছাদ বাগানে কোন কোন সবজি রোপন করা ভালো হবে । ছাদ বাগানে চাষ করতে পরেন - বেগুন , টমেটো , ফুলকপি, মিষ্টি কুমড়া, সিম ,বরবটি , করলা ,লাউ , লালশাক ,পুঁইশাক , ডাঁটা ইত্যাদি ।
ফলের ক্ষেত্রে :- ছাদ বাগানের জন্য উপযুক্ত গাছ হচ্ছে মাঝারি সাইজের ফল গাছ গুলো । ছাদ বাগানে ফল গাছ লাগানোর মাধ্যমে আপনি ফ্রেশ ফল -মূল খাইতে পারবেন । বাগানে যে ধরনের ফল গাছ লাগাতে পারেন - লেবু ,পেয়ারা , আম , কমলা , অনারস ইত্যাদি
ফুলের ক্ষেত্রে :- ছাদ বাগানে ফুলের ক্ষেত্রে সবচায়তে ভালো হয় যে ফুলগুলো - গাদা, গোলাপ, বেলী , ডালিয়া , চন্দ্রমল্লিকা ইত্যাদি ।
মসলার ক্ষেত্রে :- ছাদ বাগানের জন্য উপযুক্ত গাছ গুলোর মধ্যে মসলা আছ অন্যতম । মসলা আছের মধ্যে ছাদ বাগানে রোপন করা যায় এমন গাছ গুলো হলো - ধনিয়াপাতা গাছ , মরিচ গাছ, পুদিনা পাতা গাছ ইত্যাদি ।
ছাদ বাগানে পোকা দমনের জন্য যে সকল ব্যবস্থা নিতে হবে
যে সব গাছে ছাতরা পোকা আক্রমণ করতে পারে সে সব গাছ গুলো হলো লেবু , পেয়ারা, আম , কুল , জলপাই ,বেগুন ইত্যাদি । এই পোকা আক্রমনের প্রধান লক্ষণ হচ্ছে পাতার নিচে তুলার মতো সাদা আবরণ তৈরি করা । এই সব পোকা খুবই বিপদজনক একটি গাছের জন্য । এই সমস্ত পোকাগুলো উড়তে পারে না । তাই সর্বদা গাছের পাতায় থাকে আর গাছকে দূর্বল করে দেয় । পাতা ঝরে পরে ,গাছের আকৃতি বিনষ্ট হয় । তাছাড়াও গাছে সাদা মাছির অক্রমণ দেখা যেতে পারে । এসব পোকা দমনে আইপিএম পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন । তবে খেয়াল রাখা ভালো পোকাদমনের জন্য রাসায়নিক ব্যবহার না করে ,নিমবিসিডিন ,বাইকাও-১ জৈব রাসায়নিক বালাইনাশক ব্যবহার করা উত্তম । সবচায়তে উত্তম উপায় হচ্ছে ঘরোয়া পদ্ধতিতে পোকা দমন করা ।
আরো পড়ুন , যে ভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে পোকা দমন করতে পারেন
ছাদ বাগান করার ক্ষেত্রে যে সাধারণ পদ্ধতি আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে ।
১ . ১ ইঞ্চি পরিমান ব্যাসে হাফ ড্রামের নিচ ৫ থেকে ৬ টি ছিদ্র করে নিতে হবে । যাতে করে পাত্রে পানি জমে না থাকে ।
২. পাত্র যেহেতু মাটি দিয়ে ভরপুর করা হবে তাই মাটি যেন ছিদ্রগুলো আটকাতে না পারে তাই প্রত্যেকটা ছিদ্রের উপর মাটির টবের ভাঙ্গা টুকরা বসিয়ে দিতে হবে ।
৩. পাত্রের দুই তৃতীয়াংশ গোবর ও দোখাশ মাটির মিশ্রণ দিয়ে ভরার পর প্রতি হাফ ড্রামের পাত্রে ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম মিশ্র সার প্রয়োগ করে দোখাশ মাটি এবং গোবরের মিশ্রণের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে । এরপর পাত্রটি মাটি দিয়ে ভর্তি করে দিতে হবে ।
৪. অর্ধ মাস পর ড্রামের মাটিতে গর্ত করে বাচাই কৃত চারাটি রোপন করতে হবে । রোপনের সময় চারার মধ্যে মরা শেকড় বা অতিরিক্ত শেকড় থাকলে এগুলো কেটে ফেলে দিতে হবে ।
৫. বাতাসে গাছটি খেলে পড়ে যেতে পারে যেহতু ছাদে অনেক বাতাস আসার সম্ববনা থাকে । তাই রোপনকৃত গাছটি সাথে একটি খুটি দিয়ে ভালোকরে বেধে দিতে হবে ।
৬. হাফ ড্রামের পাত্রে মধ্যে যে জায়গায় গাছটি রোপন করা হবে তার থেকে ১৫ সেন্টিমিটার দূরে মাটির ১০ সেন্টিমিটার গভীরে ৪ থেকে ৬ টি সিলভামিক্স ট্যাবলেট সার প্রয়োগ করতে হবে ।
৭. লতা গাছের ক্ষেত্রে অবশ্যই মাচার ব্যবস্থা করতে হবে।
৮. আর যেহেতু মাটি অনেক উর্ববর থাকবে সেখানে আগাছা জন্মাবে । তাই নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করতে হবে । আগাছা মাটির উর্বরতা কেড়ে নেয় ।
৯. সেচের পর যদি মাটিতে চটা বাধে তাহলে মাটি গুলো মালচিং করে দিতে হবে ।
১০. গাছে অপ্রয়োজনীয় মরা শাখা -উপশাখা, কেটে দিতে হবে ।
আপনাদের জিজ্ঞেসিত কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর । FAQ
প্রশ্ন : ছাদ বাগানে কি সার দিতে হয় ?
উত্তর : এক লিটার পানিতে ১ হাফ চা চামচ করে ( ইউরিয়া + পটাশ + টিসপি ) সার দিয়ে এবং এর সাথে এক চিমটি সালফার ভালভাবে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে । সর্বউত্তম ফলাফল পাওয়ার জন্য মাসে ৩ বার প্রয়োগ করতে হবে ।
প্রশ্ন : ছাদে কি কি গাছ লাগানো যায় ?
উত্তর : ছাদে ফুল ,ফল,সবজি, মসলা জাতীয় গাছ লাগাতে পারেন । তবে এই ক্ষেত্রে ছাদ বাগান করার জন্য মনে রাখা জরুরি তা হলো মাঝারি সাইজের চায়তে বড় কোন গাছ যেন ছাদ বাগানে রোপন করা না হয় ।
প্রশ্ন : ছাদ বাগানে মাটির গভীরতা কত হওয়া উচিত ?
উত্তর : অগভীরমূলী গাছগুলোর ক্ষেত্রে মাটিত গভীরতা ২০ সেন্টমিটার হলেই যথেষ্ট । আর মাঝারি সাইজের গাছগুলো রোপন করার জন্য মাটির গভীরতা ৫০ থেকে ৬০ সেন্টিমিটার রাখতে হবে ।
অনেক কিছু জানলাম।ছাদ কৃষিতে কাজে আসবে।
ReplyDelete